রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

ওরা খাচ্ছে ডিমভাত, শিক্ষকদের আজও শুন্য-পাত !!


রাস্তার এ-পার, আর ও-পার। দু’দিকে দুই ছবি। এক দিকে প্রাচুর্যে ভরা অঢেল আয়োজন, আর অন্য দিকে পানীয় জলও মিলছে না ঠিক করে।

করুণাময়ীর উন্নয়ন ভবনের সামনে,  ওয়াই চ্যানেলে আট দিন ধরে ন্যায্য বেতনের দাবিতে উস্তি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেনের শিক্ষকেরা অনশনে বসেছেন। ওই রাস্তারই ঠিক উল্টো দিকে সেন্ট্রাল  পার্কে প্যান্ডেল খাটিয়ে চলছে ২১ জুলাইয়ের আয়োজন। ভাত, ডাল, সব্জি, ডিমের ঝোল রান্না হচ্ছে। পানীয় জল, স্নানের জল, শৌচালয়, স্ট্যান্ড ফ্যান— কিছুরই অভাব নেই। 
অপরদিকে অনশনরত শিক্ষকেরা কিন্তু পানীয় জলটুকুও ঠিক মতো পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। বেশির ভাগ সময়ে জল কিনে খেতে হচ্ছে। শৌচালয়ে যেতে হচ্ছে রিকশা করে।

আন্দোলনে শামিল হতে  অনশনমঞ্চে এসেছেন বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েক হাজার শিক্ষক। সংগঠনের নেত্রী পৃথা বিশ্বাস নিজেও অনশনে বসেছেন। শনিবার সন্ধ্যায় এক চিকিৎসক রক্তচাপ  মাপছিলেন।  জিজ্ঞেস করলেন, পরিমাণ মতো জল সকলে খাচ্ছেন কি না। অনশনকারীরা জানালেন, এখন স্বেচ্ছাসেবী কয়েকটি সংগঠন জলের বোতল দিয়ে যাচ্ছেন। সেটাই ভরসা। সেন্ট্রাল পার্ক থেকে কয়েক পেটি জলের বোতল রাস্তার ও দিকে পাঠানো গেল না? প্রশ্নটা অনেকের মনেই এসেছে। 

খবর অনুযায়ী ৩৫০ জন রাঁধুনি ১৭ তারিখ থেকে রান্না করছেন। রান্নার দায়িত্বে থাকা ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘১৭ তারিখ ছিল আলু পটলের তরকারি। পরে এল লাউ, আলু, বাঁধাকপি, পেঁপে। আজ বিকেল থেকে শুরু হয়েছে আলু, কুমড়ো। রবিবার সকালে স্পেশাল আলু পোস্ত হতে পারে। স্ট্যান্ড বাই রয়েছে সোয়াবিন। 

তবে ডিমের ঝোল আর ডাল রয়েছে সব সময়েই। যে কেউ খেতে পারেন এসে।’’ এক রাঁধুনি জানান, ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত ভোর পাঁচটাতেও পাওয়া যাচ্ছে, আবার সন্ধ্যাবেলাতেও পাওয়া যাচ্ছে। 

গরম ভাতের গন্ধ রাস্তার ওপারে পৌঁচ্ছচ্ছে না। অনশন মঞ্চে ইতিউতি বিক্রি হচ্ছে ডাল পকোড়া, মুড়ি, তেলেভাজা, লাল চা। শুধু অনশনকারীরাই তো নন, রোজ কয়েক হাজার হাজার শিক্ষক আসছেন আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে। তারাও সারা দিন প্রায় অভুক্তই থাকছেন।  


শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৯

প্রয়াত হলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেত্রী শীলা দীক্ষিত


81 বছর বয়সে প্রয়াত হলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেত্রী শীলা দীক্ষিত। স্বল্পকালীন রোগভোগের পরই প্রাণ হারান তিনি। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে তাঁর মৃত্যুর কথা প্রকাশ্যে এসেছে।

জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন শীলা দীক্ষিত। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনবার মুখ্যমন্ত্রী টানা ১৫ বছর দিল্লি শাসন করেন তিনি। দিল্লি কংগ্রেসের চেয়ারম্যানও ছিলেন শীলা দীক্ষিত। বিগত কয়েকদিন যাবত অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি। দিনকয়েক আগেই শেষ হওয়া লোকসভা ভোটে দিল্লি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু বিশেষ সফলতা আসেনি। তারপর থেকেই গুটিয়ে রেখেছিলেন নিজেকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে দিনকয়েক আগেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় তাঁকে। সেখানে ক্রমশ তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ে। এদিন হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

দিল্লির ফোর্টিস হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, এদিন দুপুর ৩টে ১৫ নাগাদ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় শীলা দীক্ষিতের। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয়। বিকেল ৩টে ৫৫ নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পূর্বসূরির দেহত্যাগের খবর পেয়ে টুইট করেন দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। লেখেন, ‘এই মাত্র শীলা দীক্ষিতজির চলে যাওয়ার হৃদয় বিদারক খবর পেলাম। দিল্লির বড় ক্ষতি হয়ে গেল, ওনার অবদান ভুলে যাওয়ার নয়। ওনার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।

প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশনমঞ্চে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী কে একহাত নিলেন দিলীপ ঘোষ


আজ অনশনের অষ্টম দিন ! সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ প্রাথমিক শিক্ষকদের অনশনমঞ্চে উপস্থিত হয়ে সরকারকে তীব্র নিন্দা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ! তিনি বললেন "অমানবিক সরকার, এ রাজ্যের শিক্ষক রা সুখে নেই, যাদের আজ স্কুলে থাকার কথা, তারা রাস্তায় পরে আছে এই সরকারের জন্য ! তিনি আরও বলেন দেশের অন্যান্য রাজ্য দিতে পারলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন দিতে আপত্তি কোথায় !
তিনি বলেছেন শিক্ষকদের ন্যায্য বেতন না দিয়ে এই সরকার উৎসব -মেলা -দান করছে শুধু !আর শিক্ষক রা আন্দোলন করলে তাঁদের দূরে বদলি করে দিচ্ছে ! অবিলম্বে শিক্ষক দের সাথে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দেখা করা উচিৎ বলে তিনি মনে করেন ! তিনি চান প্রাথমিক শিক্ষক দের বেতন বঞ্চনা খুব তাড়াতাড়ি মিটুক!"

অপরদিকে প্রাথমিক শিক্ষকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি তাঁদের আন্দোলন কে সমর্থন করছেন ! তিনি সর্বদা তাঁদের পাশে থাকবেন ! অনশন মঞ্চে দিলীপ ঘোষ কে পাশে পেয়ে অনশন কারী সহ আন্দোলনের সাথে যুক্ত শিক্ষকরা মনোবল বাড়ার কথা জানান !

শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৯

প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর

কোলকাতায় বিকাশ ভবনের সামনে চলছে প্রাথমিক শিক্ষকদের টানা এক সপ্তাহের অনশন৷ রাজপথে শিক্ষকদের অনশন রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়েছে পৌঁছে গিয়েছে দেশের রাজনীতিতেও৷ জাতীয় সংবাদমাধ্যমেও গুরুত্বপূর্ণ পেয়েছে শিক্ষকদের অনশন অন্দোলন৷ এবার অশনরত প্রাথমিক শিক্ষকদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী৷ খুব শীঘ্রই সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল ত্রিপাঠী৷ এই বিষয়ে রাজ্যকে নির্দেশও পাঠাতে পারেন রাজ্যপাল৷

অন্যদিকে, শিক্ষকদের অনশন ইস্যুতে ইতিমধ্যেই সুর নরম করেছেন শিক্ষামন্ত্রীও৷ খুব সম্ভবত শিক্ষামন্ত্রী সোমবার অনশনমঞ্চে যেতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ শনিবার শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, শিক্ষকরা স্কুলে যাচ্ছেন না৷ শিক্ষকরা রাস্তায় শুয়ে আছেন৷ দুটোই ঠিক হচ্ছে না৷ দেখতেও খারাপ লাগছে৷ আমি ওদের অনশন তুলে নিতে বলবো৷ আমিও ওঁদের সঙ্গে কথা বলব৷ কিন্তু, রাজ্যের আর্থিক অবস্থার মধ্যে যেটা বাস্তব সেটাই হবে৷ আমার নিশ্চয়ই দেখে নেব৷ কিন্তু আমি আবার বলছি, ওরা যেন অনশন তুলে নেন৷ ওরা রাস্তায় শুয়ে আছেন৷ দেখতেও খারাপ লাগছে৷ দেখি, আমি নিজেও যোগাযোগ করব৷’’
সর্বভারতীয় কাঠামো মেনে বর্ধিত বেতনের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকদের একাংশ৷ গত শনিবার থেকে অনশনে বসেছেন ১৮ জন প্রাথমিক শিক্ষক৷ তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে৷
অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষকদের যোগ্যতা বাড়লেও বাড়েনি বেতন৷  প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন সর্বাধিক ২৫ হাজার টাকার কাছাকাছি৷ অথচ সর্বভারতীয় স্তরে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ক্রম হাজার ৩৩ হাজার টাকা৷ শিক্ষামন্ত্রীর বেতন বৈষম্য মিটাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে দাবি আন্দোলনকারীদের৷ কিন্তু, এই আন্দোলন করতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বদলি করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর৷ তাঁদের পুরনো জায়গায় ফেরানোর দাবি জানাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা৷
এই প্রসঙ্গে বেলা সাহা বলেন, ‘‘আন্দোলন করার জন্য আমাদের ১৪ জন সহকর্মীকে প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে প্রতিহিংসামূলক ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে৷ তার জন্য আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে আবেদন করেছি৷ যত দ্রুত সম্ভব সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া জন্য৷ তিনি আমাদের কথা দিয়েছিলেন৷ আমাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেন যে আমি যত দ্রুত সম্ভব হলে ব্যবস্থা করব৷ কিন্তু, তার পর বেতন বৃদ্ধি ও বদলির নিয়ে এখনও কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেননি শিক্ষামন্ত্রী৷

জল বাঁচাতে অভিনব পন্থা যোগী আদিত্যনাথ সরকারের।

জল বাঁচাতে নয়া নিদান যোগী আদিত্যনাথ সরকারের। বিধানসভায় এ বার থেকে জল পান করতে চাইলে মিলবে আধ গ্লাস জল। জলের অপচয় রোধে অভিনব সিদ্ধান্ত উত্তরপ্রদেশের সরকারের। 
শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বিধানসভায় এই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন স্পিকার হৃদয় নারায়ণ দীক্ষিত। তিনি জানান, জল নষ্ট করা বন্ধ করতেই এই ভাবনা। "বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় পুরো এক গ্লাস জল খেয়ে শেষ করেন না অনেকে।তাই এ বার থেকে প্রথমে আধ গ্লাস জলই দেওয়া হবে।" অল্প জল খেয়ে গ্লাস রেখে দেওয়া হলে বাকি জল অপচয় হয়। নয়া নিয়মে অর্ধেক গ্লাস জল শেষ করে আবার চাইলে দেওয়া হবে আরও অর্ধেক গ্লাস জল। তবে, এক বারে এক গ্লাসভর্তি জল নৈব নৈব চ।
   সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছেন নেতা-মন্ত্রীরা। উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার এক সচিবের মতে, এতে জল অপচয় যেমন কমবে, তেমনই বৃদ্ধি পাবে সচেতনতা। বিধানসভায় এই নীতি চালু হলে এ বিষয়ে সচেতনতার প্রসার হবে রাজ্যে।
  বিন্দু বিন্দুতেই সিন্ধু, মনে করছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। নীতি আয়োগের এক রিপোর্ট অনুযায়ী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে জলসঙ্কট বড়সড় মাত্রা ধারণ করবে। সেই দিকে নজর রেখে পানীয় জলের অপচয় এখন থেকেই কম করতে চাইছে সরকার। 

মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ.. সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের !

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ। শুক্রবার দুপুরে ওই কম্পন অনুভূত হয়। কম্পন অনুভূত হয় শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তির্ন অঞ্চলে। ভূমিকম্পের জেরে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.৮। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ৩টা ৪ মিনিট নাগাদ হটাৎই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত কম্পনে কোনও হতাহতের খবর জানা যায়নি। এমনকি ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব কামেং জেলা। কম্পন অনুভূত হয়েছে অরুণাচল প্রদেশ ও অসমেও। অরুণাচল প্রদেশে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৯।

আজ অনশনের সপ্তমদিন, দেশের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় শিক্ষক আন্দোলন !

ইতিহাস বলছে এটাই পশ্চিমবঙ্গ তথা দেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষক আন্দোলন ! অনশনের সপ্তম দিনেও নিজেদের দাবিতে অনড় পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষকরা ! এখনও প্রশাসন তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি ! তবে তাঁদের দাবিকে সমর্থন করে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, কবি, সাহিত্যিক, ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা, যেমন অনুপম হাজরা, সুজন চক্রবর্তী, আব্দুল মান্নান, মন্দাক্রাতা সেন, শঙ্খ ঘোষ, সমীর আইচ, সব্যসাচী প্রমুখ.. গোটা শিক্ষক কুল এখন অপেক্ষা করে আছে সরকারের ঘুম কবে ভাঙে..